কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক প্রায় তিন মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। সেই দান সিন্দুকের টাকা ১৫টি বস্তায় ভরা হয়।
শনিবার (০১ অক্টোবর) সকালে মসজিদের দান সিন্দুক খোলার পর শুরু হয়েছে দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। এ কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
এটিএম ফরহাদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা প্রমুখ।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার দুই মাস ২৯ দিন পর মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। বিকেলে টাকা গণনার কাজ শেষ হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২ জুলাই মসজিদের দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। তখন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়।
মানুষ মনোবাসনা পূর্ণ করতে এই মসজিদে মানত করে। আর এ কারণেই দূর-দূরান্তের মানুষও আসেন, দান করেন।